ইসলামের কোন ধারাটি সর্বোত্তম? (অনুবাদ)
আল্লাহকে পাওয়ার পথসমূহ প্রশস্ত, একে সংকীর্ণ করে দেওয়া একেবারেই কাম্য নয়
মুহাম্মাদ হক-এর একটি লেখা থেকে অনুদিত।
ফিরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভের পর বনি ইসরাইলের যাযাবর অবস্থায় তাদের পানির অভাব পূরণের জন্য মুসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ্র কাছে বিশেষ দুআ করেছিলেন, যার বিবরণ আমরা পাই এখানে:
“আর মুসা যখন নিজ জাতির জন্য পানি চাইল, তখন আমি বললাম, স্বীয় যষ্ঠির দ্বারা আঘাত কর পাথরের উপরে। অতঃপর তা থেকে প্রবাহিত হয়ে এলো বারটি প্রস্রবণ। তাদের সব গোত্রই চিনে নিলো নিজ নিজ ঘাট। আল্লাহর দেয়া রিযিক খাও, পান কর আর দুনিয়ার বুকে দাংগা-হাংগামা করে বেড়িও না।” [কুরআন ২:৬০]
বনি ইসরাইলের ছিলো বারটি গোত্র। আল্লাহ তাদের প্রত্যেককে একটি করে আলাদা প্রস্রবণ দিলেন যেন পানি উত্তোলন নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়া-বিবাদ না হয়। প্রত্যেক গোত্রই সন্তুষ্ট চিত্তে তাদের জন্য নির্দিষ্ট ঘাট থেকে পানি উত্তোলন করতে থাকল।
কুরআনের আয়াতগুলোর অবতরণের আলাদা আলাদা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থাকলেও সেখানে এমন অনেক আয়াত আছে যা একেকটি সাধারণ অর্থের দিকে ইঙ্গিত করে। উদাহরণস্বরূপ, নিচের এই আয়াতটির কথাই ধরুন:
“বলুন: প্রত্যেকেই নিজ রীতি অনুযায়ী কাজ করে। অতঃপর আপনার পালনকর্তা বিশেষ রূপে জানেন, কে সর্বাপেক্ষা নির্ভূল পথে আছে।” [কুরআন ১৭:৮৪]
আল্লাহ যেমন করে বনি ইসরাইলের প্রতিটি গোত্রের জন্য আলাদা আলাদা ঘাট নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন, ঠিক একইভাবে তিনি প্রতিটি মানুষকে আলাদা আলাদা ধাঁচে তৈরি করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর এই হাদিসটি থেকে আমরা সেরকমই ইঙ্গিত পাই — “তোমরা মেহনত করে যেতে থাকো, [মনে রাখবে,] প্রত্যেককে যে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য সেটিকে সহজ করে দেওয়া হয়েছে।” [বুখারি ও মুসলিম, ভাবানুবাদ]
সুতরাং, কুরআন থেকে আমরা জানতে পারছি যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ রীতি অনুযায়ী কাজ করে। অন্যদিকে এই হাদিসটি একথা পরিষ্কার করে দিচ্ছে যে যখন কোনো কাজ কারো স্বভাবের সাথে মিলে যায় তখন চাইলে সে সেটি সহজেই করে ফেলতে পারে।
কতিপয় শিক্ষা:
উপরে বর্ণিত কুরআনের আয়াতসমূহ এবং রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হাদিস থেকে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাই।
প্রথমত, প্রত্যেকটি মানুষের স্বভাব যে আলাদা এই আয়াতসমূহ ও হাদিস থেকে তার শুধু স্বীকৃতিই মেলে না, বরং এখানে তার ওপর জোরও দেওয়া হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে ভালোমতো বোঝা না গেলেও একটু গভীরে গেলেই আমরা বুঝতে পারব যে বিভিন্ন মুসলিম দল ও সংস্থার মধ্যে এবং কুরআন ও হাদিসকে বোঝার যে বিভিন্ন চিন্তাধারা ও পথ আছে তাদের মধ্যে যে পারস্পরিক রেষারেষি চলে আসছে, আংশিকভাবে হলেও তার মূলে আছে মানুষের স্বভাবের এই ভিন্নতাকে অবজ্ঞা করার একটি প্রবণতা।
যেমন ধরুন, কেউ কেউ আছেন যারা তাদের স্বভাবগত কারণেই সবকিছুকে একেবারে সরলভাবে, অর্থাৎ সাদা-কালো বা ভালো-মন্দ হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন, কিন্তু যখনই সেটি সাদা-কালোর বাইরে একটু ঝাপসা রঙের বলে প্রতিভাত হয় তখনই তারা বেশ মুশকিলে পড়ে যান। এই স্বভাবের লোকেরা সোজাসাপ্টা উত্তর পছন্দ করেন, যেমন, “ক”-ই হলো একমাত্র সঠিক মত, আর “ক” ছাড়া বাকী সব মতই বেঠিক। এটি তাদের স্বভাবের সাথে ঠিক কতটুকু সম্পর্কিত তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে, তবে একজন মানুষ সাধারণভাবে কোনো কিছুকে যেভাবে দেখে থাকেন তা তার সার্বিক বিশ্লেষণ করার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে এটিই স্বাভাবিক। উদাহরণস্বরূপ:
সত্য একটিই।
ইসলামই সত্য।
অতএব, ইসলামের মাত্র একটি নির্দিষ্ট ব্যাখ্যাই সত্য।
তবে ইসলামের কোনো প্রাজ্ঞ পন্ডিতই ইসলামকে ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে কখনোই এরকম বুদ্ধিবিবর্জিত সরল মনোভাব দেখাননি। ইসলামের অধিকাংশ ব্যাখ্যাগত বিষয়ে তাঁরা তাঁদের মতকে ধ্রুব সত্য বলে দাবীও করেননি। ইমাম শাফেয়ি (রাহিমাহুল্লাহ)-এর এই কথাটিই ধরা যাক, “[ফকিহ হিসেবে] আমার দেওয়া মতগুলো সঠিক, তবে তাতে ভুলও হয়ে থাকতে পারে। আর অন্য [ফকিহদের] দেওয়া মতগুলো [আমার মতে] ভুল, তবে হতে পারে যে তাও সঠিক।” [ভাবানুবাদ]
একইভাবে, ইমামে আযম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলে গেছেন, “আমরা [ফকিহরা] জানি যে [আমাদের দেওয়া মতসমূহ] নিছক মত মাত্র। আমরা অনেক চেষ্টা করে এই মতে পৌঁছতে পেরেছি এবং এটিই উত্তম মত বলে আমরা মনে করি। কেউ যদি এর চেয়েও উত্তম কোনো মত আমাদের সামনে পেশ করে তবে আমরা তা [সানন্দে] গ্রহণ করে নেব।” [ভাবানুবাদ]
মোটা দাগে দেখলে এই মনোভাবটিই ইসলামের বিভিন্ন শাখাসমূহে দক্ষ একজন ব্যক্তির সাথে একজন অনভিজ্ঞ লোককে সহজেই পৃথক করে দেয়। তাহলে ফকিহরা কি একথা বলতে চাইছেন যে সত্য একটিই নয়? না, ব্যাপারটি আদৌ তা নয়। তাহলে কেন তাঁরা ইসলামের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মতকে সহ্য করে যাচ্ছেন? সেটি অবশ্য একটি আলাদা আলোচনার বিষয়, যা এই লেখার আওতার মধ্যে পড়ে না।
ধারণা করা হয় যে, মানুষের এই স্বভাবজাত ভিন্নতা ফিকহ-এর ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সাহাবীদেরকেও প্রভাবিত করেছিল। ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) কোনো মত দেওয়ার আগে সেই বিষয়ে শরিয়তের মূল হুকুমের অভীষ্ট লক্ষ্য এবং আরো অনেক খুটিনাটি বিষয় বিবেচনা করতেন, ফলে তিনি অনেক বিষয়েই মানুষের জন্য অপেক্ষাকৃত সহনশীল মত দিয়ে গেছেন। অন্যদিকে ইবনে উমার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) তাঁর মত দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতেন। তাঁরা যে শুধু তাঁদের স্বভাবের কারণেই এমনটি করতেন এমনটি বলা বাতুলতা মাত্র, তবে এটি বলা যেতেই পারে যে এক্ষেত্রে তাঁদের স্বভাবের ভিন্নতা কিছুটা হলেও ভূমিকা রেখেছিল।
মানুষের স্বভাবের ভিন্নতার এই বিষয়টি স্বীকার করে নিলে মতপার্তক্যমূলক বিষয়সমূহে, বিশেষ করে ধর্মীয় মতপার্তক্যমূলক বিষয়ে, আমরা আমাদের আচরণকে অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো, বিশেষ করে তাদের সাথে যারা দাবী করেন যে তাদের মতটি কুরআন ও হাদিসের দলিলের নিরিখে অপেক্ষাকৃত বেশি শক্তিশালী। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী তারা ঠিকই আছেন। তাদেরকে তাদের ঘাট থেকে পানি পান করতে দিন, আপনিও আপনার ঘাট থেকে পানি পান করতে থাকুন। তাদেরকে আপনার ঘাট থেকে পানি পান করতে প্ররোচিত না করলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই, কারণ আপনি জানেন যে এই প্রতিটি ঝর্ণাধারাই আসলে কুরআন ও সুন্নাহ-এর মহাসমুদ্র থেকে পাওয়া পানি মানুষকে সরবরাহ করে যাচ্ছে। ফিকহি মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে আমাদের আচরণ এমনটিই হওয়া উচিৎ।
ফলে, কেউ যদি হানাফি মাযহাবের অনুসারী কোনো জনবসতিতে যায়, তবে সেখানে গিয়ে রুকুর আগে ও পরে দুই হাত উত্তোলনের ‘গুরুত্ব’, যা হানাফিরা করেন না, তা নিয়ে মানুষকে সবক দেওয়া বোকামি ও অদূরদৃষ্টিসম্পন্ন কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। একইভাবে, কোনো জনপদের মানুষ যদি আপনার চেয়ে ভিন্ন পদ্ধতিতে বিতরের নামায পড়তে অভ্যস্ত হয়ে থাকে তবে সেখানে আপনার জন্য বিতরের নামাযে ইমামতি না করাই ভালো। অন্যথায় সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এবং ফলশ্রুতিতে সেই সমাজের সার্বিক ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট হতে পারে।
সংখ্যায় বেশ কম হলেও এমন লোকও অবশ্য আছেন যারা অন্যের ঘাটে গিয়ে সেখানকার পানির স্বাদ চেখে দেখেন এবং তাদের নিজেদের জন্য সবচেয়ে সুমিষ্ট ঘাটটি খুঁজে নেন। তবে এটি সাধারণত মানুষের সাধারণ নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
দ্বিতীয়ত, যারা ইসলামি জ্ঞানের সমুদ্রে বিচরণ করার ইচ্ছা রাখেন তাদেরকে এই আয়াতটি [২:৬০] ভালো করে মনে রাখতে হবে, বিশেষ করে কাউকে তার নিজের শিক্ষক বা আদর্শ মানার আগে। যাদের সাথে আমাদের মতের মিলের চাইতে অমিলই বেশি তাদেরকে যদি আমরা আমাদের শিক্ষক বা আদর্শ মানি তবে আধ্যাত্মিক দিকে দিয়ে আমাদের দেউলিয়া হয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ বেশি মাত্রায় ঝগড়াঝাটি বা কলহ করলে, বিশেষ করে যারা আমাদের চেয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দিকে দিয়ে অনেক এগিয়ে আছেন তাদের সাথে এগুলো বেশি বেশি করে হলে, আমাদের অন্তর কঠিন হয়ে যেতে পারে। একারণেই ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) ধর্মীয় বিষয়ে বাদানুবাদ পছন্দ করতেন না।
সবশেষে, এই আয়াতটি [২:৬০] যদি আমরা ঠিকমতো বুঝে থাকি তবে আমাদের অন্যান্য মুসলিম ভাইয়েরা যেসব দীনি কাজ করছেন, তা যদি আমাদের নিজেদের কাজের চেয়ে ভিন্ন ধরণের হয় তাহলেও, তা নিয়ে আমরা আর তুচ্ছতাচ্ছিল্য করব না। প্রায়ই দেখা যায় যে আমাদের যেসব দীনি ভাই ময়দানের কাজ করছেন তারা দীনি বিষয়ে পড়ুয়া ভাইদেরকে ‘কিছুই করছে না’ বলে ছোট দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। একইভাবে, আমাদের দীনি বিষয়ে পড়ুয়া ভাইদের মধ্যেও তাদের নিজেদেরকে একটি নিজস্ব ক্ষুদ্র গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এদের অনেকেই আবার তাদের ময়দানের দীনি ভাইদেরকে ‘মেধাকে কাজে না লাগিয়ে’ নেহায়েতই ‘গলাবাজিতে ব্যস্ত’ বলে সমালোচনাতে ব্যস্ত থাকেন। পরস্পরের মধ্যে এসব কাঁদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে আমাদেরকে মেনে নিতে হবে যে আল্লাহ্কে পাওয়ার অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা আছে। ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ)-এর একটি উদাহরণ থেকেই আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ইমাম মালিক একবার আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আযিয আল-উমারি আল-আবিদ-এর কাছ থেকে একটি চিঠি পেলেন যেখানে ইমাম মালিককে মানুষের সাথে ওঠাবসা কমিয়ে দিয়ে নির্জনে বেশি বেশি করে নফল ইবাদাতে লিপ্ত হওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছিল। ইমাম মালিক এই চিঠির জবাবে লিখলেন:
“আল্লাহ যেমন করে [মানুষের] রিযিককে বন্টন করেছেন, ঠিক একইভাবে তিনি তাদের আমলকেও বন্টন করেছেন। ফলে, কেউ হয়ত [নফল] নামাযে ভালো, কিন্তু [নফল] রোযায় সে হয়ত অতোটা ভালো নয়; কেউ আবার হয়ত জিহাদে ভালো, কিন্তু [নফল] নামাযে সে হয়ত অতোটা ভালো নয়। [দীনি] জ্ঞান অন্যকে শেখানো ও দিকে দিকে তা ছড়িয়ে দেওয়া [মানুষের জন্য] সর্বোত্তম কাজসমূহের মধ্যে একটি, এবং আমি সন্তুষ্ট যে আল্লাহ আমাকে [উত্তমভাবে] এই কাজের সুযোগ দিয়েছেন। আমি মনে করি না যে আপনি যে আমল করছেন তা করা বাদ দিয়েই আমি আমার এই কাজ করে যাচ্ছি, এবং আমি আশা করি যে আমরা উভয়েই কল্যাণের ওপর আছি। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের জন্যই যে [বিশেষ] আমল বন্টন করেছেন [অর্থাৎ যে আমলটিতে আমরা বিশেষভাবে ভালো] সেটির জন্য আমাদের সবারই আল্লাহ্র ওপর সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ।” [ভাবানুবাদ]
এই চিঠি থেকেই আমাদের বুঝতে পারা উচিৎ যে, ইমাম মালিক (রাহিমাহিল্লাহ) খুব ভালোভাবেই জানতেন যে আল্লাহ্কে পাওয়ার অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা আছে। একমাত্র আমাদের রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই সবদিক দিয়ে পরিপূর্ণ আবিদ বা আল্লাহ্র ইবাদাতকারী ছিলেন, যিনি আল্লাহ্কে পাওয়ার সবগুলো রাস্তাতেই স্বাচ্ছন্দে বিচরণ করে গেছেন। আবার খোদ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই “কোন আমলটি সর্বোত্তম?” এই প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্নকর্তার স্বভাব ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্নকর্তাকে ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দিয়ে গেছেন। এ কারণেই ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) সহজেই বলতে পেরেছিলেন, “আমি আশা করি যে আমরা উভয়েই কল্যাণের ওপর আছি।”
তাঁরা সবাইকে শামিল করে [দীনি রাস্তায়] চলতে চাইতেন, আর আজকাল অনেকেই একেকজন অন্যকে বর্জনের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠছেন। তাঁরা এই দীনের বিশালতা ও উদারতাকে গুরুত্ব দিতেন, আর আজকাল অনেকেই এই মহান দীনকে মানুষের জন্য সংকীর্ণ করে ফেলছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই উম্মতের অগ্রগামী প্রজন্মের মনীষীদেরকে উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং বর্তমানে যারা উত্তমভাবে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন তাদেরকেও উত্তম প্রতিদান দিন। সবশেষে দরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি সর্বশেষ রাসুল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর পরিবারের প্রতি।